আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদের অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ পাচারের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে গড়া মোট ১ হাজার ৬০ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছে যুক্তরাজ্য সরকার।
সঠিকভাবে মামলা মোকাদ্দমা করে সে টাকা বাংলাদেশে আনতে সক্ষম হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন।
আজ দুদকের প্রধান কার্যালয়ে করা এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদের পাচারকৃত অর্থের মাধ্যমে বিদেশে ৫৮০টি বাড়ি করেছেন। এরমধ্যে যুক্তরাজ্যে ৩৪৩টি, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২২৮টি ও যুক্তরাষ্ট্রে নয়টি বাড়ির তালিকা করেছে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ)। যুক্তরাজ্যে তার ৩৪৩ টি ফ্ল্যাট/প্লট এবং দশটি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর বিজ্ঞ আদালতের এক আদেশে ক্রোক করা হয়। উক্ত ক্রোকাদেশের প্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্যের সেন্ট্রাল অথরিটি বরাবর এমএলএআর প্রেরণ করা হয়। জেডটিএস প্রোপারটিজের এর ৩৪৩টি বাড়ি যার এর আনুমানিক মূল্য ৭৩ দশমিক ১৫ মিলিয়ন পাউন্ড যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ হাজার ২৫ কোটি টাকা। ব্যাংক আমানতের পরিমাণ ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন পাউন্ড যা আনুমানিক ৩৫ কোটি টাকার সমপরিমাণ বা আরও বেশি। এ টাকা সেখানে জব্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে আসামি প্রত্যর্পণ আইন, ১৯৭৪ এবং বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের দ্বিপাক্ষিক চুক্তির আওতায় ফেরানোর বিষয়ে সরকার চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে ইউএনসিএসি ও ইউএনটিওসি-এর আওতায় আনার প্রচেষ্টা রয়েছে।
বাংলাদেশের সম্পদ জব্দের আদেশের প্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্যে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পদ জব্দ করায় এনসিএ-কে ধন্যবাদ জানান দুদক চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার একটি জটিল কার্যক্রম। বাংলাদেশের এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা কম। এনসিএ এক্ষেত্রে আমাদের সাহায্য করেছে। বলা যায়, আমাদের প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছে। আমরা ভাগ্যবান হলে সঠিকভাবে মামলা-মোকাদ্দমা করে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে সক্ষম হবো।
সূত্র-বাসস