সোমা ঘোষ মনিকা:
কালো বলে বিয়ে গেলো ভেঙ্গে
কপালে জুটলো না প্রেম
কেউ এলো না মুর্দা ঘরে সঙ্গে।
কালো চামড়া টা আবছা আলোয়
কেমন যেন চকচকিয়ে উঠছে।
সাদা মার্কিনের স্তর করে ভেদ
সুডৌল স্তনযুগল যেন জানাচ্ছে
যৌবনের শিখা এখনো জ্বলছে।
ভ্রমরকালো চোখে নেমেছে কালঘুম
আড়চোখে তাকাচ্ছে ডোম।
গতকালই ফাঁসিতে ঝুলে,
আত্মঘাতী হয়েছি কলঙ্কিনী আমি।
আত্মঘাতী নই শুধু আমি
আমি কালরাক্ষসী, আমি সর্বনাসী।
আমার মা হবার খবর শোনে
এ কথাই বলেছে গ্রামবাসী।
জঠরে আমার তিন মাসের ভ্রুণ,
লজ্জা হায়ার দুয়ারে লেগেছে ঘুণ।
কালো বলে কেউ যখন ভালোবাসেনি,
তখনই হঠাৎ সে এলো ধীর পায়ে
কপালে আল্পনা এঁকে বললে ভালোবাসি।
হঠাৎ আলোর ঝলকানিতে
ঝলসে গেল নয়নদুটি।
মিথ্যে প্রেমের মোহেই পড়ে,
খুইয়েছি সতীত্ব, নারীত্ব।
আজ আমি মুর্দাঘরে নিঃসঙ্গ।
হয়তো সে কামুক প্রেমিক আজও
ঘুরে ফিরছে ফুল থেকে ফুলে,
অকালে ঝরাচ্ছে কলি আমারই মত করে।
কালো চামড়ার মেয়েকে কেউ ভালোবাসে না
কেউ মনে রাখে না,
যদি বা দেয় কেউ ভালোবাসার হাতছানি
সবই মোহ, শরীরের ক্ষুধা বুঝি।।।
আছে যত কৃষ্ণকলি, শরৎবাবুর পার্বতী
সবাই ছড়ায় আলো সাহিত্যের ছত্রে,
এ জগৎ-এ হয় না'কো স্হান,
করে নাতো কেউ কদর
দান হয় না তাদের সৎপাত্রে।