নেত্রকোণায় বোর্ড মনোনীত সভাপতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার


ছবি: আসআত ইকবাল

২০ মে ২০২৫ ইং
নেত্রকোনা প্রতিনিধি


নেত্রকোনা প্রতিনিধি:



সাম্প্রদায়িক সময়ে মিথ্যা দিয়ে সত্য ব্যক্তিত্বকে ঘায়েল করার পায়তারায় লিপ্ত হয়েছে, একটি কুচক্র মহল।ক্ষমতার চেয়ার দখলের জন্য প্রতিহিংসার রাজনীতিতে ক্রমাগত গড়ে উঠছে শত্রুতার  পরিবেশ। এমনই একটি ঘটনার সাক্ষী হয়ে আজ দাঁড়িয়েছে, নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার আনন্দপুর আলিম মাদরাসার এডহক কমিটি গঠন নিয়ে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড গত ১৩ মে একটি চার সদস্যবিশিষ্ট এডহক কমিটি গঠন করেন। উক্ত কমিটির  সভাপতি হিসেবে মনোনীত হন স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক আসআত ইকবাল।


কমিটি গঠনের পর থেকেই একটি স্বার্থান্বেষী কুচক্র মহল তাদের পছন্দের প্রার্থী মনোনীত না হওয়ায় বোর্ড কর্তৃক নির্বাচিত সভাপতির বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অপপ্রচার শুরু করেন। রাজনৈতিকভাবে ‘আওয়ামী ঘরানার’ বলে আখ্যায়িত করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা চলছেন, যার মাধ্যমে বোর্ড কর্তৃপক্ষকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।


সরজমিন ঘুরে জানা যায়,  আসআত ইকবাল একটি জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তাঁর পিতা ছিলেন স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। নিজ এলাকায় তিনি একজন শিক্ষানুরাগী, নির্ভরযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত।


মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপালের আহ্বানে এলাকার নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে রাজনৈতিক পরিচয়, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও সামাজিক গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিতে ৩জন যোগ্য প্রার্থীর নাম প্রস্তাব করে মাদ্রাসার কর্তৃক এর মধ্যেমে শিক্ষা বোর্ডে পাঠানো হয়। প্রয়োজনীয় যাচাই বাছাই  শেষে বোর্ড কর্তৃক ২নং প্রার্থী আসআত ইকবালকে সভাপতি হিসেবে মনোনীত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।


অপরদিকে , ১নং প্রার্থী ইউনুস আলী মনোনীত না হওয়ায় তার অনুসারীদের একটি মহল ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ও বিভিন্ন মহলে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উল্লেখযোগ্য যে, ইউনুস আলীর প্রকৃত স্থায়ী ঠিকানা ময়মনসিংহ জেলার আকুয়া হলেও, আবেদনপত্রে আনন্দপুর দেখানো হয়েছে—যা তথ্য গোপন ও প্রতারণা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।


স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান,আসআত ইকবাল একজন পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির ব্যক্তি এবং দলের প্রতি দায়িত্বশীল। তার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের নিন্দা জানিয়ে তারা দলীয়ভাবে তার পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন।


স্থানীয় বাসিন্দা আলাল মিয়া বলেন, “আসআত ইকবাল একজন সৎ ও শিক্ষানুরাগী মানুষ। তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে কেউ যদি মাদরাসার পরিবেশ অশান্ত করতে চায়, তা এলাকাবাসী মেনে নেবে না।


মাদরাসার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বলেন, “আমরা চাই মাদরাসার পরিবেশ শান্তিপূর্ণ থাকুক। বোর্ড যাকে দায়িত্ব দিয়েছে, তিনিই দায়িত্ব পালন করুন। বাইরের জেলার কেউ এখানে দায়িত্ব পাক—তা আমরা মেনে নিতে পারি না।


এলাকাবাসী ও সচেতন নাগরিকরা এ ধরনের অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করার পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানান।

দৈনিক খবর /নিউজ/কামরুল