কুয়াকাটায় স্টুডিও বন্ধের ঘোষণায় প্রশংসায় ভাসছেন কলাপাড়ার ইউএনও


কলাপাড়া ইউএনও মো: রবিউল ইসলাম

০২ জুন ২০২৫ ইং
কলাপাড়া প্রতিনিধি

কলাপাড়া প্রতিনিধি:


সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকতে দীর্ঘ দিন ধরে ফটোগ্রাফারদের ফাঁদে আটকে ছিলো পর্যটকরা। পর্যটকদের ব্যক্তিগত ছবি থেকে যেতো স্টুডিওতে। প্রায়শই বিভিন্ন ধরনের বিরম্বনায় পরতে হতো তাদের। হঠাৎ সৈকতের স্টুডিও বন্ধের ঘোষণা দেয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসায় ভাসছেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম। এধরনের একটি উদ্যোগ নেয়ায় অনেকেই কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাকে।


কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেইজবুকে ইউএনও কলাপাড়া পটুয়াখালী পেইজে এনিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিলে সেখানে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে কমেন্টস করেন। কলাপাড়ার কর্মরত সাংবাদিক শরিফুল শাহীন লিখেছেন, কুয়াকাটার ফটো শিকারীদের কারণে পর্যটকরা সব সময় হয়রানির শিকার হয়। পর্যটক সৈকতে বেড়ানোর জন্য নামলেই ফটোশিকারিরা পিছু ছাড়েনা। এদের উৎপাতে সৈকতে দাঁড়ানো পর্যন্ত যায়না। মেহেদি হাসান রাতুল নামের একজন লিখেছেন, ধন্যবাদ স্যার। প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আশাকরি এই উদ্যোগ এর যথাযথ কার্যকর এর মাধ্যমে পর্যটকদের হয়রানি বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কামরুল ইসলাম শাওন লিখেছেন, সুন্দর হবে, তারা পর্যটকদের সাথে খারাপ আচরণ করে এবং স্থানীয় একটা ভাব নেয়। একটা ছবির কথা বলে অনেকগুলো ছবি তোলে এবং সেগুলো নিতে বাধ্য করে। মির তাসকিন মহিবুল্লাহ লিখেছেন, সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। সারাজীবন ধর্মঘট করলেও ওদের দেওয়া ঠিক হবে না। বাংলাদেশের কোন পর্যটন কেন্দ্রে নাই, য়ে ষ্টুডিওতে গিয়ে ছবি আনেত হবে। এভাবে অনেকেই তাদের মতামত জানান।


কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সিদ্ধান্তকে প্রধান্য দেয়া হবে। ষ্টুডিও বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তবে ফটোগ্রাফারদের ছবি তোলার পর পর্যটকদের ক্যাবল, ওটিজি ও মেমরি ইত্যাদির মাধ্যমে সরাসরি ছবি ট্রান্সফার করতে হবে। এর মাধ্যমে স্টুডিও মালিকদের কমিশন ব্যবসা ও পর্যটন হয়রানি বন্ধ হবে বলে তিনি জানান।


দৈনিক /খবর /রাসেল