নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমরা বলেছি দু’টি বিষয় স্পষ্ট করা দরকার। একটি হল নির্বাচনটা কখন হবে। তিনি যে সময়সীমা দিয়েছেন, এর মধ্যে জনগণের কাছে কোনো ধরণের ভোগান্তি না হয় এমন একটি স্বস্তিজনক সময়ে নির্বাচনটা হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।
আজ শনিবার ২৪ মে রাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠকে শেষে জামায়াতে ইসলামীর আমির সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা দ্বিতীয় যে বিষয়টি বলেছি তা হলো, এই নির্বাচনের আগে অবশ্যই সংস্কার এবং বিচারের প্রক্রিয়া জনগণের কাছে দৃশ্যমান হতে হবে। তিনি বলেন, সংস্কার শেষ না করে নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনে জনগণ প্রত্যাশা পূরণ হবে না। আবার সব সংস্কারই এই সরকারের পক্ষে করা সম্ভবও নয়। তিনি বলেন, মাত্র পাঁচটা সুনির্দিষ্ট বিষয়ের সংস্কারে তারা হাত দিয়েছে। সেগুলোর সন্তোষজনকভাবে নিষ্পত্তি হওয়া উচিত ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের রোডম্যাপের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা গভীর মনোযোগ সহকারে শুনেছেন। আমাদের বিশ্বাস তিনি বিষয়টাকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, প্রধান উপদেষ্টা শুধু এইটুকুই বলেছেন দেশ আমাদের সবার। আমি অবশ্যই অর্থবহ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ একটা নির্বাচন দেখতে চাই। আমি যেন-তেন কোনো নির্বাচন দিতে চাই না।
জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, গণতন্ত্র মানে হচ্ছে- আমার মতটি আমি প্রকাশ করবো, তবে অন্যের মতের প্রতি আমাকে শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি সকল দলই দেশকে ভালোবাসে। ভালোবাসার জায়গা থেকে দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়ে সবাই যদি এগিয়ে আসি এবং আমরা যদি সংস্কার প্রক্রিয়াকে অর্থবহ করতে সহযোগিতা করি তবে একটি অর্থবহ সংস্কারের মধ্য দিয়ে একটি অর্থবহ নির্বাচন হতে পারে। আমরা সেই দিনটির অপেক্ষায় আছি।
তিনি বলেন, সমাজে যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছিল, এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে আপাতদৃষ্টিতে তা কিছুটা কেটেছে। আমরা এর স্থায়ী নিষ্পত্তি চাই। আমরা মনে করি যে দুইটা রোডম্যাপ ঘোষণা করলেই তার অনেকটাই সমাধান হয়ে যাবে। একটি হচ্ছে সংস্কারের রোডম্যাপ। আরেকটি হচ্ছে নির্বাচনের রোডম্যাপ। এ দুটি রোডম্যাপ অতীব গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা মনে করি।
এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমরা কোনো সময় বেধে দেয়নি। আমরা একটি অনুকূল সময়ের কথা আপনাদের মাধ্যমে জাতিকে জানিয়েছি। যদি সংস্কার শেষ হয়ে যায় তা হলে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যভাগে এটা হতে পারে। আর যদি সংস্কার শেষ না হয়, আরেকটু যদি সময় লাগে এর পরই যেহেতু রোজা শুরু হয়ে যাবে। তাই রোজার পর পরই হতে পারে। তারপরও সময় লম্বা করলে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। কারণ আমাদের দেশের আবহাওয়া অনুকূলে থাকবেনা ।
প্রধান উপদেষ্টার সাধে বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
সূত্র-বাসস