কলাপাড়া প্রতিনিধি :
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গরুর বাজারের জন্য নির্দিষ্ট জায়গার অভাবে চরম দূর্ভোগে রয়েছে ক্রেতা ও বিক্রেতাসহ এলাকাবাসী। এ বাজার থেকে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ টাকা সরকারী রাজস্ব খাতে জমা হলেও নির্দিষ্ট কোন জায়গা দিতে পারেনি স্থানীয় প্রশাসন। উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা গরু বাজার নিয়ে জায়গা সংকটসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ প্রকাশ করেন ক্রেতা-বিক্রেতাসহ ইজারাদার।
সরেজমিনে জানা যায়, কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা বাজারে দীর্ঘ বছর ধরে সপ্তাহের প্রতি শনিবার এখানে হাট বসে। স্থানীয়দের কাছে এটি শনিবারের বাজার হিসেবেও বেশ পরিচিত। স্থানীয় খেটে খাওয়া মানুষগুলো তাদের সপ্তাহের নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য সামগ্রী এখান থেকে ক্রয় করে থাকে। পাশাপাশি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এখানে গরু-ছাগল ও মহিষ ক্রয়-বিক্রয় হয়ে আসছে। কিন্তু নির্দিষ্ট ইজারা না দেয়ায় এতোদিন সরকারী রাজস্ব খাতে কোন অর্থ জমা হয়নি। তবে, গত বছর থেকে এ গরুর বাজারটি সরাকারিভাবে ইজারা দেয়া হচ্ছে। ফলে এখানে গরু-ছাগল ক্রয়-বিক্রয়ের পরিমাণ পূর্বের তুলনায় অনেকগুন বেড়ে গেছে। অথচ সরকারি খাতে রাজস্ব জমা হলেও গরু বাজারের জন্য দেয়া হয়নি নির্দিষ্ট কোন জায়গা। বাধ্য হয়ে বাজারে যাতায়তের প্রধান সড়ক ও তার পাশেই বসছে গরুর হাট। এতে একদিকে বিঘœ হচ্ছে গাড়ি চলাচল অপরদিকে প্রতিনিয়ত ঘটছে অনাকাংখিত দুর্ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ক্রেতা-বিক্রেতা ও ইজারাদারসহ স্থানীয় গাড়ি চালকরা।
ক্রেতা মুছা বিশ্বাস বিক্রেতা সুমন বেপারী, মটরসাইকেল চালক মাসুম ও অটোচালক হালিমসহ আরো অনেকে দৈনিক খবর ২৪ ডট কম এর প্রতিনিধিকে জানান, এখানকার গরু বাজারের নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় তাদের সকলকে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। এ বাজারটি যেহেতু সরকারিভাবে ইজারা নিয়ে রাজস্বখাতে টাকা দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে তাই এ বাজারের জন্য নির্দিষ্ট একটি জায়গা একান্ত প্রয়োজন। এবিষয়ে তারা যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
মুক্তিযোদ্ধা বাজার ইজারাদারের পক্ষে বিশ্বাস রাশেদ মোশাররাফ কল্লোল প্রতিনিধিকে বলেন, এ বাজার থেকে তারা বিপুল পরিমাণ অর্থ সরকারি রাজস্ব খাতে জমা দেন। অথচ বাজারের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় তাদের চরম বিপাকে পরতে হচ্ছে। অতিদ্রুত গরু-ছাগলের বাজারের জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা দেয়ার বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, জনসুবিধার্থে বাজারের আয়তন বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে। বাজারের নিকটবর্তী সরকারি জমি থাকলে তা বর্ধিত করবেন বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।
দৈনিক /খবর /রাসেল